ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন
ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন অনেকগুলো রয়েছে। এখানে আমরা সবচেয়ে জনপ্রিয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সিগন্যাল ডেইলি চার্টে দেখা যায়। ১ ঘণ্টা এবং ৪ ঘণ্টার চার্টে নির্ভরযোগ্যতা কমে যায়। সাপ্তাহিক এবং মাসিক চার্টে সাধারন ফোরকাস্টের নির্ভরযোগ্যতা বেড়ে যায়, কিন্তু ট্রেন্ড থেকে ক্ষণস্থায়ী চ্যুতির সম্ভাবনাও বেড়ে যায়, যেমন, ক্যান্ডেলের শ্যাডো অনেক বড় হতে পারে।রিভার্সাল প্যাটার্ন
রিভার্সাল প্যাটার্ন এই ইঙ্গিত দেয় যে ট্রেন্ডের দিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা অনেক বেশী রয়েছে। এসকল প্যাটার্ন নতুন ট্রেন্ডের শুরুর দিকে সম্ভাব্য এন্ট্রি পয়েন্ট চিনহিত করার জন্য উপকারী।
- লক্ষ্য করবেন যে রিভার্সাল প্যাটার্নের ক্ষেত্রেঃ
- ট্রেন্ড যতো বড় হবে, সিগন্যাল ততো শক্তিশালী হবে।
- ট্রেন্ড যতো খাড়া হবে, সিগন্যাল ততো শক্তিশালী হবে।
- সিগন্যাল শক্তিশালী হবে যদি তা সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স লেভেলের কাছাকাছি দেখা যায়।
- সম্প্রতিক ট্রেডিং সেশনে যদি টুইজার প্যাটার্ন ফর্ম করে থাকে তাহলে সিগন্যাল শক্তিশালী হবে।
বিয়ারিশ প্যাটার্ন
বিয়ারিশ রিভার্সাল প্যাটার্ন আপট্রেন্ডের শেষে দেখা যায়।
শুটিং স্টার। হচ্ছে একটি ১-ক্যান্ডেল প্যাটার্ন। ক্যান্ডেলের বডি ছোট হয়। উপরের শ্যাডো বড় হয় এবং বডির চেয়ে কমপক্ষে ২ গুন বড় হয়। উপরের বড় শ্যাডো এটা বোঝায় যে কথায় রেজিস্ট্যান্স এবং সাপ্লাই রয়েছে তা মার্কেট খোজার চেষ্টা করছে, কিন্তু উপরের দিক বিয়ার দ্বারা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ক্যান্ডেল যেকোনো রঙের হতে পারে, কিন্তু যদি তা বিয়ারিশ হয়, সিগন্যাল বেশী শক্তিশালী হবে।
| |
ইভিনিং স্টার। একটি ৩-ক্যান্ডেল প্যাটার্ন। বড় একটি বুলিশ ক্যান্ডেলের পরে একটি বুলিশ গ্যাপ থাকবে। বুলরা নিয়ন্ত্রন করবে, কিন্তু বেশী কিছু অর্জন করতে পারবে না। দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটি একটু ছোট হবে এবং এর রঙ তেমন গুরুত্ব বহন করবে না। তৃতীয় বিয়ারিশ ক্যান্ডেল নিচের দিকে একটি গ্যাপ নিয়ে ওপেন হবে এবং পূর্বের বুলিশ গ্যাপ পুরন করবে। প্রায়ই এই ক্যান্ডেল প্রথমটির চেয়ে বড় হবে।
| |
ইভিনিং দজি স্টার। ৩-ক্যান্ডেল প্যাটার্ন। এই প্যাটার্ন ইভিনিং স্টারের মতো, কিন্তু একে আরও শক্তিশালী সিগন্যাল হিসেবে ধরা হয় কারন মধ্যের ক্যান্ডেল হচ্ছে দজি।
| |
হ্যাঙ্গিং ম্যান একটি ১-ক্যান্ডেল প্যাটার্ন। এটা বুলিশ ট্রেন্ডের সমাপ্তির সিগন্যাল দেয়, শীর্ষে অথবা সাপোর্ট লেভেলে। এই ক্যান্ডেলের নিচের শ্যাডো বড় হয়, যা কমপক্ষে রিয়েল বডির দিগুণ হবে। ক্যান্ডেল যেকোনো রঙের হতে পারে, কিন্তু যদি তা বিয়ারিশ হয়, তাহলে সিগন্যাল শক্তিশালী হবে। এতে আরও বিয়ারিশ সমর্থনের প্রয়োজন হয়। সেল সিগন্যাল নিশ্চিত হয় যখন বিয়ারিশ ক্যান্ডেলস্টিক বাম দিকের ক্যান্ডেলস্টিকের প্যাটার্নের নিচে ক্লোজ হয়।
| |
ডার্ক ক্লাউড কভার। একটি ২-ক্যান্ডেল প্যাটার্ন। প্রথম ক্যান্ডেলটি বুলিশ হবে এবং বডি বড় হবে। দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটি লক্ষণীয়ভাবে প্রথমটির ক্লোজের উপরে ওপেন হবে এবং প্রথম ক্যান্ডেলের বডির ৫০% নিচে ক্লোজ হবে। এর বডি বড় হওয়ার কথা।
| |
বিয়ারিশ এনগালফিং প্যাটার্ন। একটি ৩-ক্যান্ডেল প্যাটার্ন। প্রথম ক্যান্ডেলটি বুলিশ হবে। দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটি বিয়ারিশ হবে এবং প্রথমট ক্যান্ডেলের হাইয়ের চেয়ে উপরে ওপেন হবে এবং প্রথম ক্যান্ডেলের লোয়ের নিচে ক্লোজ হবে (সম্পূর্ণরূপে পরিবেষ্টন করবে)। পরিমিতভাবে এটি একটি শক্তিশালী সিগন্যাল।
| |
বিয়ারিশ হেরামি। একটি ২-ক্যান্ডেল প্যাটার্ন। দ্বিতীয় ক্যান্ডেলের বডি সম্পূর্ণভাবে প্রথম ক্যান্ডেলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং তা বিপরীত রঙের হবে।
| |
বিয়ারিশ হেরামি ক্রস। একটি ২-ক্যান্ডেল প্যাটার্ন যা হেরামির মতোই। পার্থক্য হচ্ছে শেষের ক্যান্ডেলটি একটি দজি।
| |
থ্রি ব্ল্যাক ক্রোস। একটি ৩-ক্যান্ডেল প্যাটার্ন। এটা পরপর বড় বডির ৩টি বুলিশ ক্যান্ডেল দিয়ে তৈরি হয়। প্রতিটি পূর্বেরটির বডির মধ্য থেকে ওপেন হয়, আরো ভালোভাবে বলতে গেলে মাঝ থেকে। প্রতিটি ক্যান্ডেল নতুন লো দিয়ে ক্লোজ হবে, এর নিম্নের কাছাকাছি। এই প্যাটার্নের নির্ভরযোগ্যতা অনেক বেশী, কিন্তু এরপর লোয়ার ক্লোজের একটি বিয়ারিশ ক্যান্ডেলস্টিক অথবা নিচের দিকে গ্যাপ দেখা গেলে ভালো।
|
বুলিশ প্যাটার্ন
বুলিশ রিভার্সাল প্যাটার্ন আপট্রেন্ডের শেষে দেখা যায়।
হ্যামার। একটি ১-ক্যান্ডেল প্যাটার্ন। এটা বিয়ারিশ ট্রেন্ডের সমাপ্তির সিগন্যাল দিতে পারে, বটমে অথবা সাপোর্ট লেভেলে। ক্যান্ডেলের শ্যাডো বড় হবে, যা রিয়েল বডির কমপক্ষে দিগুণ হবে। হ্যামারের রঙ তেমন গুরুত্ব বহন করেনা, কিন্তু যদি তা বুলিশ হয়, তাহলে সিগন্যালকে শক্তিশালী হিসেবে ধরা হয়। এতে আরও বুলিশ সমর্থনের প্রয়োজন হয়। বাই সিগন্যাল নিশ্চিত হয় যখন হ্যামারের বাম দিকের ক্যান্ডেলস্টিকের ওপেনিং প্রাইসের ওপরে ক্লোজ হয়।
| |
মর্নিং স্টার। একটি ৩-ক্যান্ডেল প্যাটার্ন। বড় একটি বিয়ারিশ ক্যান্ডেলের পরে নিচের দিকে একটু বিয়ারিশ গ্যাপ থাকবে। বুলরা নিয়ন্ত্রনে থাকবে, কিন্তু তারা বেশী কিছু অর্জন করতে পারবে না। দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটি ছোট হবে আর এর রঙ গুরুত্বপূর্ণ নয়। তৃতীয় বিয়ারিশ ক্যান্ডেল উপরের দিকে গ্যাপ নিয়ে ওপেন হবে এবং পূর্বের বিয়ারিশ গ্যাপ পুরন করবে। এই ক্যান্ডেল প্রায়ই প্রথম ক্যান্ডেলের চেয়ে বড় হয়ে থাকে।
| |
মর্নিং স্টার দজি। একটি ৩-ক্যান্ডেল প্যাটার্ন। প্রায় পূর্বেরটির মতো, কিন্তু কিছু কিছু ট্রেডার একে বেশী শক্তিশালী সিগন্যাল হিসেবে মনে করে।
| |
ইনভার্টেড হ্যামার। একটি ১-ক্যান্ডেল প্যাটার্ন। এই ক্যান্ডেলের বডি ছোট হয় এবং উপরের শ্যাডো বড় হয়, যা রিয়েল বডির চেয়ে কমপক্ষে দিগুণ বড়। হ্যামারের রঙ বেশী গুরুত্ব বহন করে না, কিন্তু যদি তা বুলিশ হয়, তাহলে সিগন্যালকে শক্তিশালী হিসেবে ধরা হয়। এতে আরও বুলিশ সমর্থনের প্রয়োজন হয়।
| |
পিয়ার্সিং লাইন। একটি ২-ক্যান্ডেল প্যাটার্ন। প্রথম ক্যান্ডেলটি বড় এবং বিয়ারিশ হবে। দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটি একটু নিচের দিকে গ্যাপ নিয়ে ওপেন হবে, প্রথমটির ক্লোজের নিচে। এটি বড় একটি বুলিশ ক্যান্ডেল হবে, যা প্রথম ক্যান্ডেলের বডির ৫০% এর উপরে ক্লোজ হবে। দুটো বডিই যথেষ্ট পরিমানে বড় হবে। পরিমিতভাবে এটি একটি শক্তিশালী সিগন্যাল।
| |
বুলিশ হেরামি। একটি ২-ক্যান্ডেল বিশিষ্ট প্যাটার্ন। দ্বিতীয় ক্যান্ডেলের বডি সম্পূর্ণভাবে প্রথমটির ভেতরে থাকবে এবং এদের রঙ বিপরীত হবে।
| |
বুলিশ হেরামি ক্রস। একটি ২-ক্যান্ডেল বিশিষ্ট প্যাটার্ন যা হেরামির সদৃশও। পার্থক্য হচ্ছে শেষের দিনটি দজি হবে।
| |
বুলিশ এনগালফিং প্যাটার্ন। একটি ২-ক্যান্ডেল বিশিষ্ট প্যাটার্ন যা ডাউন্ট্রেন্ডের শেষে দেখা যায়। দ্বিতীয় (বুলিশ) ক্যান্ডেল প্রথম ক্যান্ডেলের লোয়ের নিচে ওপেন হবে এবং প্রথম ক্যান্ডেলের হাইয়ের ওপরে ক্লোজ হবে (সম্পূর্ণরূপে পরিবেষ্টন করবে) পরিমিতভাবে এটি একটি শক্তিশালী সিগন্যাল।
| |
থ্রি হোয়াইট সোলজারস। একটি ৩-ক্যান্ডেল বিশিষ্ট প্যাটার্ন। এতে বড় বডির পরপর ৩টি বুলিশ ক্যান্ডেল থাকবে। প্রতিটি ক্যান্ডেলের আগের বডির মধ্যে দিয়ে ওপেন হওয়া উচিত, ভালো হয় যদি মাঝের চেয়ে উপরে ওপেন হয়। প্রতিটি ক্যান্ডেল নতুন একটি হাইতে ক্লোজ হবে, এর সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এই প্যাটার্নের নির্ভরযোগ্যতা অনেক বেশী, কিন্তু এরপর হায়ার ক্লোজের একটি সাদা ক্যান্ডেলস্টিক অথবা উপরের দিকে গ্যাপ দেখা গেলে ভালো।
|
কন্টিনিউয়েশন প্যাটার্ন
বেশিরভাগ ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন হচ্ছে রিভার্সাল প্যাটার্ন, কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু ট্রেন্ড রয়েছে যা স্থির হওয়ার সংকেত দেয়। কন্টিনিউয়েশন প্যাটার্ন এই ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেট কিছু সময় বিরতির পরে চলমান ট্রেন্ড আবার বহাল রাখবে। এসকল প্যাটার্ন সম্ভাব্য এন্ট্রি পয়েন্ট চিনহিত করতে সহায়তা করে, ইতিমধ্যে যেসকল পজিশন ওপেন করা হয়েছে সেগুলো ধরে রাখার ইঙ্গিত দেয় অথবা আরও পজিশন যোগ করার ইঙ্গিত প্রদান করে।
আপট্রেন্ডে কন্টিনিউয়েশন
আপসাইড তাসুকি গ্যাপ। পূর্বের সাদা ক্যান্ডেল থেকে একটি গ্যাপের পরে একটি বুলিশ ক্যান্ডেল ফর্ম করে। পরের ক্যান্ডেল নিচের দিকে ওপেন হয় এবং পূর্বেরটির চেয়ে নিচে ক্লোজ হয়। গ্যাপ যদি পূরন না হয়ে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে যে বুলরা নেতৃত্ব বজায় রেখেছে আর ট্রেডার লং পজিশন ওপেন করতে পারে। গ্যাপ যদি ভরে যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে বুলিশ মোমেন্টাম শেষ হয়ে এসেছে।
রাইজিং থ্রি মেথড। দীর্ঘ সময়ের পরে পরপর কয়েকটি ছোট বিয়ারিশ ক্যান্ডেল দেখা যাবে। সন্তোষজনক পুল-ব্যাকের সংখ্যা ৩টি হয়ে থাকে, কিন্তু ২, ৪ অথবা ৫ টি পুল-ব্যাক ক্যান্ডেলও দেখা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় লক্ষ্য করবেন যে বিয়ারিশ ক্যান্ডেলগুলো যে বড় বুলিশ ক্যান্ডেলের ওপেনের নিচে ক্লোজ না হয়। সেগুলোর শ্যাডোও যেন বুলিশ ক্যান্ডেলের ওপেনর নিচে না যায়। সর্বশেষ ক্যান্ডেল ওপেন হবে আগের পুল-ব্যাক ক্যান্ডেল থেকে এবং তা প্রথম বড় ক্যান্ডেলের ওপরে গিয়ে ক্লোজ হবে।
সেপারেটিং লাইনস। প্রথমে একটি বড় বিয়ারিশ ক্যান্ডেল হবে ও তারপর একটি বুলিশ ক্যান্ডেল যা একই লেভেলে ওপেন হবে যখন সেই ক্যান্ডেলটি ওপেন হয়েছে।
ম্যাট হোল্ড। বড় একটি সাদা ক্যান্ডেলের পরে উপরের দিকে একটি গ্যাপ হবে ও তারপর কয়েকটি ছোট বিয়ারিশ ক্যান্ডেল দেখা যাবে। দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় ক্যান্ডেল বড় বুলিশ ক্যান্ডেলের বডির নিম্নদিক পর্যন্ত যাবে। এই প্যাটার্নের শেষ ক্যান্ডেলটি উপরের দিকে গ্যাপ নিয়ে শুরু হবে এবং এটা উপরের দিকে মুভমেন্ট জারি রাখবে আর আগের দিনগুলোর যেকোনো ট্রেডিং রেঞ্জের ওপরে ক্লোজ হবে। পজিশন যোগ করার জন্য এটি একটি ভালো জায়গা। ম্যাট হোল্ড ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন রাইজিং থ্রি মেথড কন্টিনিউয়েশন প্যাটার্নের চেয়ে শক্তিশালী প্যাটার্ন। যেসব দিনগুলোতে কারেকশন হয় যা রাইজিং থ্রির মতো না হয়ে, প্রাইস সাদা (অথবা সবুজ) ক্যান্ডেলের উপরের রেঞ্জের কাছাকাছি থাকে।
থ্রি লাইন স্ট্রাইক (দ্যা ফুলিং থ্রি সোলজারস)। ৩টি বুলিশ ক্যান্ডেলের (থ্রি হোয়াইট সোলজারস) পরে, যা আপট্রেন্ড প্রলম্বিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়, সেখানে একটি ক্যান্ডেল উপরে ওপেন হয়, কিন্তু তারপর তা পুল ব্যাক করে প্রথম বুলিশ ক্যান্ডেলের নিচে ক্লোজ হয়। এই শর্ট-টার্মের পুলব্যাক সেন্টিমেন্ট বজায় থাকে না এবং আপট্রেন্ড সেখান থেকে চলা শুরু করে।
আপসাইট গ্যাপ থ্রি মেথড। আপসাইট তাসুকি গ্যাপের মতো এটি। এই প্যাটার্ন শক্তিশালী ট্রেন্ডিং মার্কেটে দেখা যায়। আপট্রেন্ডে, ২টি বুলিশ ক্যান্ডেলের মধ্যে গ্যাপ দেখা যায়। শেষের দিনে উপরে বুলিশ বডির মধ্যে ওপেন হয় এবং লোয়ার বুলিশ বডির মধ্যে ক্লোজ হয়, তাদের মধ্যের গ্যাপ পুরন করে।
ডাউন্ট্রেন্ড কন্টিনিউয়েশন
ডাউনসাইড তাসুকি গ্যাপ। একটি কালো ক্যান্ডেল যা পূর্বের কালো ক্যান্ডেলের গ্যাপের পরে ফর্ম করে। পরবর্তী ক্যান্ডেলটি উপরে ওপেন হয় এবং আগেরটির চেয়ে উপরে ক্লোজ হয়। গ্যাপ যদি পুরন না হয়, তাহলে বুঝতে হবে যে বিয়াররা নিয়ন্ত্রন বজায় রেখেছে এবং শর্ট করার চিন্তা করা যেতে পারে। গ্যাপ যদি পুরন হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে বিয়ারিশ মোমেন্টাম শেষ হওয়ার পালা।
অন নেক লাইন। প্রথম বিয়ারিশ ক্যান্ডেল নিচের দিকে গ্যাপ নিয়ে ওপেন হয় এবং বড় বডি থাকে। দ্বিতীয় ক্যান্ডেলটি বুলিশ হয় এবং শুধু পূর্বের দিনের লো পর্যন্ত যাবে, এর ক্লোজ লেভেল পর্যন্ত নয়।
ইন নেক লাইন। এই প্যাটার্ন অন নেক লাইন প্যাটার্নের মতোই কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে এটা আগের দিনের ক্লোজ অথবা একটু উপরে গিয়ে ক্লোজ হয়। ইন নেক লাইন স্বল্প সময়ের জন্য পুলব্যাকের সংকেত দেয়, কিন্তু ট্রেন্ডের দিক পরিবর্তনের নয়।
থারস্টিং। এই প্যাটার্ন অন নেক লাইন এবং ইন নেক লাইন প্যাটার্নের সাদৃশ, পার্থক্য হচ্ছে বুলিশ ক্যান্ডেল পূর্বের দিনের কালো বডির কাছাকাছি, কিন্তু হালকা মধ্যম পয়েন্টের নিচে ক্লোজ হয়।
ফলিং থ্রি মেথড। বড় একটি বিয়ারিশ ক্যান্ডেলের পরে পরপর ২-৫টি ছোট বুলিশ ক্যান্ডেল হবে। গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস লক্ষ্য রাখবেন যে বুলিশ ক্যান্ডেলগুলো যেন বড় বিয়ারিশ ক্যান্ডেলের উপরে ক্লোজ না হয়। তাদের শ্যাডোও যেন বিয়ারিশ ক্যান্ডেলের ওপেনকে অতিক্রম না করে। সর্বশেষ ক্যান্ডেলটি আগের বুলিশ ক্যান্ডেলের বডির কাছাকাছি ওপেন হবে এবং প্রথম বড় কালো ক্যান্ডেলের নিচে ক্লোজ হবে।
চার্ট প্যাটার্ন
আপনার কি কখনো এরকম মনে হয়েছে যে কোন বিসশমন্ডল আপনাকে বিভিন্ন সংকেতের মাধ্যমে কিছু বলতে চাচ্ছে? মাঝেমাঝে এসকল অজানা সংকেত আপনাকে বড় ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচায় অথবা আপনার অপূরণীয় জিনিসপত্রের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। বিসশমন্ডলের এসকল অর্থসূচক বার্তা সকলে রহস্যধ্মার করতে পারেনা। এটা তার শুন্যবাদী এবং অ-কুসংসরাচ্ছন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের জন্য নয়, কিন্তু "ভাষার বাধার" কারনে যা তার এবং বিসশমন্ডলের মধ্যে বাধা হয়ে দাড়ায়। একবার যদি আপনি সেই ভাষা শিখে যান, তাহলে আপনি সম্ভাব্য ভুলসমূহ যা আপনার জীবনযাত্রার পথে অপেক্ষা করছে তার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
এফএক্স মার্কেটের নিজস্ব ভাষা রয়েছে। যেসকল ট্রেডাররা তা শেখা বর্জন করে তারা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয় কারন তারা সাবধানবানী চিনতে অসক্ষম হয়। এফএক্স ভাষার মূল উপাদানসমূহের মধ্যে একটি হচ্ছে চার্ট প্যাটার্ন। এই টিউটোরিয়ালে, আপনি সেগুলো সম্পর্কে জানবেন, আর অপ্রত্যাশিত অবিশ্বস্ত এবং ট্রেন্ড রিভার্সাল, ফলস ব্রেকআউট, চরম সুইং এবং ট্র থেকে নিজেকে বাঁচাতে সক্ষম হবেন।
চার্ট প্যাটার্ন হচ্ছে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লাইনের সমন্বয় যা ট্রেন্ড রিভার্স করবে নাকি বহাল থাকবে তা নির্ধারণ করতে সহায়তা করে। এজন্য, রিভার্সাল এবং কন্টিনিউয়েশন প্যাটার্ন রয়েছে।
রিভার্সাল চার্ট প্যাটার্ন
হেড এন্ড শোল্ডারস
হেড এন্ড শোল্ডারস প্যাটার্ন সাধারনত আপট্রেন্ডের শেষের দিকে ফর্ম করে। যেখানে বুলিশ ট্রেন্ড চলাকালীন সফলভাবে উঠতি পিক এবং উঠতি ট্র দেখা যায়, হেড এন্ড শোল্ডারস প্যাটার্ন ট্রেন্ড দুর্বল হওয়ার দৃষ্টান্ত দেয়।
এই প্যাটার্নে রয়েছে একটি হেড (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পিক অথবা চূড়া) এবং ২টি শোল্ডার (নিম্নতর চুড়া) এবং একটি নেকলাইন (একটি লাইন যা দুটি ট্রর নিচের পয়েন্টগুলোকে সংযুক্ত করে এবং একটি সাপোর্ট লেভেল চিত্রিত করে)। নেকলাইন সমান্তরাল অথবা উপরে/নিচের দিকে স্লোপ বা ঢালু হতে পারে। স্লোপ যদি উপরের বদলে নিচের দিকে হয়ে থাকে তাহলে সিগন্যাল বেশী নির্ভরযোগ্য হয়।
প্যাটার্ন নিশ্চিত হয় যখন দ্বিতীয় শোল্ডার ফর্ম হওয়ার পরে প্রাইস নেকলাইন ব্রেক করে। একবার এটা হলে, কারেন্সি পেয়ারের ডাউনট্রেন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই, নেকলাইনের নিচে সেল অর্ডার দিতে পারেন। টার্গেট পরিমাপ করবেন হেডের সর্বোচ্চ পয়েন্ট থেকে নেকলাইন পর্যন্ত। এর দূরত্ব হবে প্রাইস নেকলাইন ব্রেক করার পরে প্রাইস কতো দূরে মুভ করতে পারে।
মনে রাখবেন যে প্রাইস প্রাথমিক ব্রেকের (একটি "থ্রোব্যাক" মুভ)পরে প্রায়ই নেকলাইনে ফেরত আসে। এক্ষেত্রে নেকলাইন, যা আগে সাপোর্ট হিসেবে কাজ করছিলো, তা এখন রেজিস্ট্যান্স হিসেবে কাজ করবে।
ইনভার্স হেড এন্ড শোল্ডারস
ইনভার্স হেড এন্ড শোল্ডারস প্যাটার্ন হেড এন্ড শোল্ডারস প্যাটার্নের একেবারে বিপরীত। এটি ডাউনট্রেন্ডের শেষে দেখা যায় এবং বুলিশ রিভার্সালের ইঙ্গিত দেয়।
ডাবল টপ
ডাবল টপও সাধারনত আপট্রেন্ডের শেষের দিকে দেখা যায়। এটি সবচেয়ে প্রচলিত ফর্মেশনের মধ্যে একটি। এই প্যাটার্নে পরপর দুটি সদৃশ (অথবা প্রায় একরকম) উচ্চতার পিক অথবা চূড়া থাকে আর তাদের মধ্যে মাঝারী ট্র থাকে। নেকলাইন ট্রর সর্বনিম্ন পয়েন্ট থেকে সমান্তরালভাবে অঙ্কন করা হয়।
প্যাটার্ন নিশ্চিত হয় যখন দ্বিতীয় শোল্ডার ফর্ম করার পরে প্রাইস নেকলাইনকে নিচের দিকে ব্রেক করে। একবার তা ঘটলে, কারেন্সি পেয়ারে ডাউনট্রেন্ড শুরু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নেকলাইনের নিচে সেল অর্ডার দিতে পারেন। টার্গেট পেতে পিক থেকে নেকলাইনের দূরত্ব পর্যন্ত পরিমাপ করবেন। এই দূরত্ব হচ্ছে প্রাইস নেকলাইন ব্রেক করার পরে আনুমানিক কতোদূর মুভ করবে। এটা একবার ভাঙলে, নেকলাইন রেজিস্ট্যান্স হিসেবে কাজ করবে। এখানে থ্রোব্যাক মুভও সম্ভব।
ডাবল বটম
ডাবল বটম হচ্ছে একেবারে ডাবল টপের বিপরীত। এটি ডাউনট্রেন্ডের শেষের দিকে দেখা যায় এবং বুলিশ রিভার্সালের ইঙ্গিত দেয়।
একই রকম প্যাটার্ন যার ৩টি পিক/৩টি ট্র সম্পন্ন ক্যান্ডেলকে ত্রিপল টপ/বটম বলা হয়। এটাও একইভাবে ট্রেড করা হয়ে থাকে।
কন্টিনিউয়েশন চার্ট প্যাটার্ন
কন্টিনিউয়েশন প্যাটার্ন বর্তমান ট্রেন্ডের বিরতির সময় দেখা যায় আর এটা এই ইঙ্গিত দেয় যে ট্রেন্ড আবার চলবে।
ট্রায়াঙ্গেল
ট্রায়াঙ্গেল প্যাটার্ন সহজে চিনহিত করা যায়। এটা ট্রেডের সেরা উপায় হচ্ছে ব্রেকআউটে ট্রেড করা। ট্রায়াঙ্গেলের ভেতরে ট্রেড করাটা ঝুঁকিপূর্ণ আর অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়।
৩ ধরনের ট্রায়াঙ্গেল প্যাটার্ন রয়েছে। অ্যাসেন্ডিং ট্রায়াঙ্গেলকে বুলিশ প্যাটার্ন হিসেবে ধরা হয়, ডিসেনডিং ট্রায়াঙ্গেল - একটি বিয়ারিশ প্যাটার্ন, আর সিমেট্রিক্যাল - হচ্ছে একটি নিরপেক্ষ প্যাটার্ন।
সিমেট্রিক্যাল ট্রায়াঙ্গেলের ক্ষেত্রে, বুল অথবা বিয়ার কেউই মার্কেটকে আয়ত্তে আনতে পারেনা। সাপোর্ট লাইন উপরের দিকে যায় এবং রেজিস্ট্যান্স লাইন নিচের দিকে প্রায় একই গতিপথে। ব্রেকআউট যেকোনো ডায়রেকশনে হতে পারে। এখানে এই জিনিসটি নিশ্চিত যে ব্রেকআউট হবে। এরফলে, ট্রেডার লোয়ার হাইয়ের ওপরে এবং হায়ার লোয়ের নিচে এন্ট্রি অর্ডার দিতে পারে। যখন একটি অর্ডার চালু হবে, তখন অন্য অর্ডার বাতিল করে দিতে হবে।
অ্যাসেন্ডিং ট্রায়াঙ্গেল এটা দেখায় যে বুলরা শক্তিশালী হচ্ছে কারন তারা প্রাইসকে একটু একটু করে উপরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে বিয়াররা দুর্বল হচ্ছে আর প্রাইসকে উপরের দিকে ফর্ম হতে দিচ্ছে। রেজিস্ট্যান্স লাইন আপেক্ষিকভাবে সমতল অথবা সমান্তরাল হয়ে থাকে এবং সাপোর্ট লাইন উদ্ধগামী হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, কিন্তু সবসময় নয়, প্রাইস রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করবে। এন্ট্রি অর্ডার রেজিস্ট্যান্স লাইনের ওপরে এবং হায়ার লোর নিচে দিতে পারেন।
ডিসেনডিং ট্রায়াঙ্গেল এটা দেখায় যে বিয়াররা শক্তিশালী হচ্ছে কারন তারা প্রাইসকে একটু একটু করে নিচের দিকে নিয়ে আসছে, যেখানে বুলরা দুর্বল হচ্ছে আর প্রাইসকে লোয়ার হাইতে ফর্ম হতে দিচ্ছে। রেজিস্ট্যান্স লাইন নিম্নগামী হবে এবং সাপোর্ট লাইন আপেক্ষিকভাবে সমতল অথবা সমান্তরাল হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, কিন্তু সবসময় নয়, প্রাইস সাপোর্ট ব্রেক করবে। এন্ট্রি অর্ডার সাপোর্ট লাইনের নিচে এবং লোয়ার হাইয়ের ওপরে দিতে পারেন।
ফ্ল্যাগ এবং পেনান্ট
পেনান্ট এবং ফ্ল্যাগ হচ্ছে শর্ট-টার্মের কন্টিনিউয়েশন প্যাটার্ন যা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্যাটার্নগুলোর মধ্যে গণ্য হয়।
এসকল প্যাটার্ন ফর্ম করে যখন প্রাইসে তীব্র মুভমেন্টের পরে কনসলিডেশনের ধাপে যায়। ফ্ল্যাগ ২টি সমান্তরাল লাইন (সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স) দিয়ে গঠিত হয় যা পূর্ববর্তী ট্রেন্ডের বিপরীতে ঢালু হয়। পেনান্ট দুটি সমকেন্দ্রিক ট্রেন্ড লাইন দিয়ে গঠিত হয় যা শুরু হয় প্রশস্ত আকারে আর এটা শর্ট টার্মের ট্রায়াঙ্গেল হয়ে থাকে।
ফ্ল্যাগ এবং পেনান্ট সর্বদা পূর্বের ট্রেন্ডের ডায়রেকশনে ট্রেড করবেন আর অর্ডার রেজিস্ট্যান্স লাইনের (আপট্রেন্ডের ক্ষেত্রে) উপরে অথবা সাপোর্ট লাইনের (ডাউনট্রেন্ডের ক্ষেত্রে) নিচে প্লেস করবেন।
ওয়েজ
ওয়েজ ট্রায়াঙ্গেলের মতো দেখতে। পার্থক্য হচ্ছে ওয়েজে পূর্ববর্তী ট্রেন্ডের বিপরীতে লক্ষণীয় স্লোপ দেখা যায়।
রাইজিং ওয়েজ ফর্ম করে যখন প্রাইস ঊর্ধ্বগামী সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লাইনের মধ্যে সংকুচিত হয়। রাইজিং ওয়েজ যদি আপট্রেন্ডের পরে ফর্ম করে, তাহলে একে সাধারনত বিয়ারিশ রিভার্সাল প্যাটার্ন হিসেবে ধরা হয়। এটা যদি ডাউনট্রেন্ডে ফর্ম করে, তাহলে একে ডাউন মুভ বহাল রাখার সিগন্যাল হিসেবে ধরা হয়।
ফলিং ওয়েজ ফর্ম করে যখন প্রাইস নিম্নগামী সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লাইনের মধ্যে সংকুচিত হয়। ফলিং ওয়েজ যদি ডাউনট্রেন্ডের পরে ফর্ম করে, তাহলে সাধারণত একে বুলিশ রিভার্সাল সিগন্যাল হিসেবে ধরা হয়। এটা যদি আপট্রেন্ডে ফর্ম করে, তাহলে এটা উপরের দিকে মুভ বহাল রাখার সিগন্যাল হিসেবে ধরা হয়।
রেক্টেঙ্গেল অথবা আয়তক্ষেত্র
রেক্টেঙ্গেল এমন প্রাইস প্যাটার্ন চিত্রিত করে যেখানে সাপ্লাই এবং ডিমান্ড দীর্ঘ সময়ের জন্য সমানভাবে আনুপাতিক দেখা যায়। কারেন্সি পেয়ার নির্দিষ্ট একটি রেঞ্জের মধ্যে মুভ করে, রেক্টেঙ্গেলের বটমে সাপোর্ট পেয়ে থাকে এবং রেক্টেঙ্গেলের টপে রেজিস্ট্যান্স হিট করে। সাইডওয়ে ট্রেড থেকে প্রাইস চূড়ান্তভাবে ভেঙ্গে যায়। এই ব্রেকআউট সম্ভবত উপরের দিকে হয়ে থাকবে, পূর্বের ট্রেন্ড যদি বুলিশ হয়ে থাকে, এবং আর নিচের দিকে হবে, যদি পূর্বের ট্রেন্ড বিয়ারিশ হয়ে থাকে। কিন্তু, রেক্টেঙ্গেল রিভার্সাল প্যাটার্নও হতে পারে।
really awesome
ReplyDelete